ঢাকা , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ , ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলাম কর্তৃক কাজীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-১৭ ২০:০৯:১২
সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলাম কর্তৃক কাজীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলাম কর্তৃক কাজীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : কাজী মোঃ জহিরুল ইসলামকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে আ’লীগের দোসর সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

 

জানা যায়, রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ঢালুর মোড় লোটাস কমিউনিটি সেন্টারে নিকাহ্ রেজিস্ট্রীর কাজ করছিলেন। হটাৎ ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলাম ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম কাজী জহিরুলকে অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ, মারধর করে এবং প্রাণ নাশের হমকি দেয় এবং নিকাহ্ রেজিস্ট্রীর ভলিয়ম বহি কেড়ে নিয়ে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ছিড়ে ফেলেন।

 

কাজী মোঃ মোকাদ্দিম হোসেন শাওন জানায়, গত বুধবার (৭ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় আদালত চত্বরের ২ নং মোহরীবারের সামনে একাধীক এ্যাডভোকেট, মোহরী ও সাধারণ জনতার উপস্থিতিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী শফিকুল ইসলাম আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে ও অপমানজনক কথাবার্তা বলে।

 

এ সময় আমি তাকে গালি দিতে নিষেধ করলে সে মারমুখি আচারণ করে এবং বলে কোট আমার নিজের এলাকা। আমি যা বলবো তাই শুনতে হবে। তবে হুমকির কারন জানা যায়নি। অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী শফিকুল ইসলাম বিগত দিনে সাবেক মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আশীর্বাদপুষ্ট, আস্থাভাজন, সাহসী কর্মী এবং সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশার ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।

 

জানা যায়, সাবেক স্বৈরাচার আ’লীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় আ’লীগের দোসর শফিকুল ইসলাম কাজী হিসেবে রাসিক ৫নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পান। গত ২৮/১০/২০২৩ তারিখে রাসিক ৪নং ওয়ার্ডের কাজী জহুরুল ইসলাম মৃত বরণ করেন। ফলে ৪নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব নিতে দৌঁড়ঝাপ করেন এই কাজী শফিকুল ইসলাম। পরে রাসিক সাবেক মেয়র লিটনের সুপারিশে ৪নং ওয়ার্ডে অতিরিক্ত কাজী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যাহার সময় সিমা ছিল ১২০ দিন। কিন্তু গত ১ বছর পূর্বেই মেয়াদ অতিক্রম করলেও সাবেক মেয়র লিটনের সুপারিশ পত্র দিয়ে আজও অবৈভভাবে নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম ৪ নং ওয়ার্ডে চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজী শফিকুল ইসলাম, তিনি ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যও তার ভাই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তার অপর ভাই মোঃ রফিকুল ইসলাম আ’লীগ সদস্য। বর্তমানে তিন ভাই পূর্বের ন্যায় দাপটের সাথে তাদের কার্যক্রম চালালেও অজ্ঞাত কারনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছেনা। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বেআইনি ও অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে কোর্ট চত্বরে দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন এই বিতর্কিত কাজী শফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাই। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন, ভুয়া কাবিননামা তৈরি, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অবৈধ বিয়ে রেজিস্ট্রী, ও আদালতের পরিবেশ নষ্ট করার মতো গুরুতর অভিযোগ। এ ব্যপারে আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনার মহাদয়ের নিকট আইনি পদক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা ও স্থানীয়রা।

 

সার্বিক বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে কাজী শফিকুল ইসলাম জানান, কোর্টে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।

 

 

 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ